সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চা

লবণ শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই মূলত ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, জলপাই তেলের সঙ্গে মেশালেও রূপচর্চচার উপকরণ হিসেবে চমৎকার কাজ করবে।

সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চারূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যাবে লবণকৃতজ্ঞতা: ফাবিহা ফাইজা হক, ছবি: কবির হোসেন


সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চা

শরীরের জায়গা অনুযায়ী লবণ বেছে নিন
মডেল: নাজিয়া, ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

লবণ কম হলে পুরো খাবারই বরবাদ। খাবারে ব্যবহৃত অতি প্রয়োজনীয় এই উপকরণ রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করা যায়। মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রতিটি অংশের জন্যই ব্যবহার করা যায় লবণ। তবে শরীরের ত্বক অনুযায়ী বদলে যাবে এর প্রয়োগের নিয়ম।মাথা দিয়েই শুরু করা যাক। এই অংশের ত্বকে অনেকেই অতিরিক্ত তৈলাক্ততার সমস্যায় ভোগেন। চুল চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। শ্যাম্পুর মধ্যে কিছুটা লবণ মিলিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। চুলে ফোলানো ভাব আসবে, চলে যাবে অতিরিক্ত তেল। তবে এটি অবশ্যই খাবার লবণ হতে হবে। দানা যত মিহি হবে, ততই ভালো।

সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চা

দাঁতে হলুদ ভাব থাকলে টুথপেেস্টে লবণ লাগিয়ে দাঁতে ঘষে নিন
। 
ছবি: কবির হোসেন

মুখমণ্ডলের জন্যও খাবার লবণ বেছে নিতে হবে। লবণের সঙ্গে জলপাই তেল বা মুখে ব্যবহার করা হয় এমন কোনো তেল মিশিয়ে নিতে হবে। দানা যত মিহি হবে, তত ভালো। লবণ ত্বকের মরা চামড়া তোলার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। কোনো জ্বালাপোড়া থাকলে কমে যাবে। ব্রণ, হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাক হেডস থাকলে চলে যাবে। লবণের এই মিশ্রণ টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। ত্বকে কোনো র‍্যাশ হলে কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলুন। লালচে ভাব চলে যাবে। এই মিশ্রণেই যদি আবার মধু দেন, তাহলে টোনার হিসেবে ভালো কাজ করবে। লবণ মাউথওয়াশ হিসেবে বেশ কার্যকর। দাঁতে হলুদ ভাব থাকলে লবণ দিয়ে ঘষে নিন। লবণে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকায় হলদে ভাব কমে যাবে। টুথপেস্টের ওপর লবণ লাগিয়েও ব্রাশ করতে পারেন। ঠোঁটেও স্ক্রাবার হিসেবে লবণ ব্যবহার করা যায়। মরা চামড়া উঠে যাবে।

সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চা

লবণের সঙ্গে জলপাই তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন ত্বকে। 
ছবি: কবির হোসেন

লবণ দিয়ে যে মরা চামড়া তোলার কাজ ভালো হয়, সেটা আগেই বলেছি। শরীরের বিভিন্ন জায়গার পুরুত্বের ওপর নির্ভর করে লবণ বেছে নিতে হবে। আমাদের পিঠ আর সামনের অংশের ত্বকের পুরুত্ব বেশি, জানান শারমিন কচি। এখানে সি-সল্টের ব্যবহার করলে ভালো। দানা একটু বড় হলেও ক্ষতি নেই। জলপাই তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। বগলের তলায় ও ঘাড়ের পেছনে যে কালো কালো ছোপ থাকে, সেগুলো দূর করতেও লবণ কাজে দেবে। ভিনেগার, অ্যালোভেরা জেল আর লবণ মিশিয়ে মালিশ করুন নিয়মিত। যেকোনো ত্বকের জন্য মানানসই এই মিশ্রণ।

সব বাড়িতেই থাকা সাধারন এই উপকরণটি দিয়ে করা যায় রূপচর্চা

লবণ শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই মূলত ব্যবহার করা যাবে। 
ছবি: কবির হোসেন

ম্যানিকিওর, পেডিকিওর করার সময়ও কুসুম গরম পানিতে লবণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পায়ের নখে ইনফেকশন থাকলে চলে যাবে। পাশাপাশি পা ও হাত ঘামাও কমে আসবে। অনেকের পা দিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়, সেই সমস্যারও সমাধান পাবেন। অনেকের পা ফেটে রক্ত বের হয়, সেটাও ঠিক হয়ে যাবে অনেকখানি।

লবণ শুষ্ক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্যই মূলত ব্যবহার করা যাবে। তৈলাক্ত ত্বকের যে সমস্যাগুলো হয়, সেগুলোর জন্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে লবণ। শুষ্ক ত্বক থেকে মূলত সরিয়ে নেবে মরা চামড়া। প্রাকৃতিক উপকরণ হিসেবে এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করা যাবে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url